১.
আমরা যে-দিনগুলিতে কেবলই বৈচিত্রের সন্ধান, আর বলছি ভালো লাগে না ভালো লাগে না, তেমন দিনে যিনি আমাদের বুঝতে পারতেন তিনি থাকতেন সদাই গম্ভীর, ফলে প্রতিটা বিষয়েই তার ছিল নিজস্ব সব ভিন্নমত। আর যখনি আমরা তার কাছে গিয়েছি তো আমাদের চা দিয়েছেন বিস্কিট দিয়েছেন, বলেছেন, ‘শোনো, নতুন একটা চিন্তা এসেছে মাথায় কিন্তু তার আগে তোমরা ভাতটাত কী খাবে বলো, আমি লাইলিকে বলি।’ কিন্তু আমরা নিশ্চই করে জানতাম, তাঁর যে নতুন চিন্তা, তা মৃত্যুবিষয়ক। আমরা কখনোই বুঝতে পারি নি কারো একজনের মৃত্যু বিষয়ে কেন এত চিন্তা করতে হয়, এবং আমরা বলেছিলাম যে দুপুরে আমরা খাবো।
লাইলি, যেহেতু তাঁর মেয়ে এবং একমাত্র, সে বলে, ‘তোমরা ভাত খেতে এসছো বুঝি।’ আমরা ‘হাঁ’ বলতেই তিনি গম্ভীর মুখে বলতেন, ‘বুঝলে, আত্মহত্যা-করতে-চায় এমন কাউকে দেখলে আমার কাছে নিয়ে আসবে। এরা মৃত্যুকামনা থেকে একধরনের যৌনানন্দ পায়, আমি একবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম, করি নি কেন জানো?’ লাইলি, যেহেতু তাঁর মেয়ে, সে জিজ্ঞেস করে, ‘আনন্দের জন্য বুঝি?’