গ্রামে ডিপ্রেশন থাকার সুযোগ নাই, তবে অভাব ও হতাশা তো আছে
একাকীত্ব জিনিসটা শহরের লোকদেরই বেশি হয়, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও যোগাযোগের ধরনের কারণেই হয়।
গ্রামে প্রাইভেসির পাত্তা না থাকার কারণে একাকীত্বের অস্তিত্ব যেহেতু ওইভাবে নাই, সম্ভব না, তাই ডিপ্রেশন সেভাবে থাকার কথা না।
ভারতে গ্রামের কৃষকেরা অবসাদ বা বিষণ্ণতার কারণে আত্মহত্যা করে না। তারা করে অভাব, হতাশা, রাষ্ট্রীয় বঞ্চনা, আশাহীনতা ও সাংস্কৃতিক কারণে।
তবে ইন্ডিয়ান অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী (জন্ম. ১৯৭৪, বুধানা সিটি, মুজাফফরনগর, উত্তরপ্রদেশ) অবসাদ ও বিষণ্ণতাকে অর্থাৎ ডিপ্রেশনকে যেভাবে "ধনীদের বিলাসিতা" বলতেছেন সেই বলাটা সমস্যাজনক।
ভিন্ন অর্থনৈতিক অবস্থায় ভিন্ন সাংস্কৃতিক আচার আচরণ ও তার অর্থ তৈরি হয়।
শহরের মানুষদেরকে গ্রামের মানুষদের অবসাদহীনতা বা বিষণ্ণতাহীনতা দিয়া বিচার করাটা ভুল বিচার।
গ্রামের মানুষকে কি সিদ্দিকী সাহেব শহরের মানুষের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আচরণ ও মূল্যবোধ দিয়া বিচার করেন?
নিশ্চয়ই না। তাইলে উল্টাটা কেন করেন?
সেইটাই চিন্তার বিষয়। এক সিদ্দিকী এইটা করলে কথা ছিল না, আরো বহুজনই শহরের তুলনায় গ্রামকে শ্রেষ্ঠত্বের আসন দিতে গিয়া ভুল বিচারের বশবর্তী হন।
গ্রামে ডিপ্রেশন না থাকলে কী হইল, অভাব ও হতাশা তো আছে, আত্মহত্যা আছে। সেগুলি কি বিলাসিতা?
নিশ্চয়ই না, ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা যেমন বিলাসিতা না, অভাব বা হতাশাও বিলাসিতা না।
২৪/৫/২০২৩