আলবেয়ার কামুরে লাইফস্টাইল দার্শনিক বলা যায়। সার্ত্রও তাই।
মানুষরে গুরুত্ব দিতে গিয়া প্রথমত ওনারা জগতের অন্য সদস্যদের কথা ভুইলা গেছিলেন। দ্বিতীয়ত মানুষরে তার অভ্যাস ও রীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ভাইবা দর্শন প্রডিউস করছেন তারা।
মানুষ কী করতেছে তা দিয়া দর্শন হয় না, মনোবিদ্যা হয়। দর্শন হইল জগতরে সঙ্গে লইয়া মানুষের সম্ভাবনা বা ভবিষ্যৎ মানুষের মন তৈরির শাস্ত্র।
কিন্তু দর্শনরে একান্তই মানব সর্বস্ব করার সমস্যা হইল মানুষের জীবহত্যা জনিত যে পাপবোধ তারে গুরুত্ব দেওয়া।
এই কাজ গৌতম বুদ্ধও করছেন।
বাঘ জাতির মানুষ খাওয়ার ঘটনায় যেই কারণে আমরা পাপের ভার চাপাইতে পারি না, সেই একই কারণে মানবজাতির বাঘ ভক্ষণের উপরেও আমরা দোষ দিতে পারব না। অন্তত দার্শনিক ভাবে তা পারব না।
তা দিতে গেলে শ্রেষ্ঠ জীবের গৌরব স্বীকার কইরা দর্শন চর্চা সমাপ্ত করতে হয়।
কিন্তু দর্শন কেবলই মানবজাতির করণীয় হিসাব করার বিষয় নয়।
দর্শন ভবিষ্যৎ জগত ও মানুষের কথা বলে। কাজেই মানুষের আচরণ বা অভ্যাস গৌণ বিষয়।
যে সমস্ত দার্শনিক হিউম্যান বিহেভিয়র বা মানব আচরণ লইয়া ব্যস্ত, তারা মূলত লাইফস্টাইল দার্শনিক। ওনারা ছোট দার্শনিক।
২/৬/২০২৩
কারা কারা বড় দার্শনিক,এই বিষয়ে একটা লেখা চাই।
যাক, মূল্যায়ন-অবমূল্যায়নের যৌক্তিক কিছু কথা দাঁড় করিয়েছেন। তবে আপনার এই যুক্তি তাদের জীবদ্দশায় প্রকাশ করলে আপনাকে কেউই মূল্যায়ন করতো না। টোটালি হাস্যকর যুক্তি বলতো। এই কালে লিখেছেন বলে কিছুটা মূল্যায়ন পেতে পারেন কিছু পাঠকের কাছে। অন্তত আপনার এই যুক্তিকে কেউ হাস্যকর বলবে না।