গালিবাজদের সঙ্গে যাদের সামাজিক বন্ধুত্ব আছে তাদের নিয়া কী করা? এদের দোষী সাব্যস্ত করা যায় কি? ব্যক্তির অধিকার লস্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখতে পারেন অনেকে এর মধ্যে। আমার ইচ্ছা আমি গালিবাজ বা ব্যক্তিগত আক্রমণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। কার বাপের কী…?
আসলেই কারো বাপের কিছু না। ব্যক্তিগত ভাবে আমরা যে কারো সঙ্গেই যে কোনো সম্পর্ক রাখতে পারি। কিন্তু সোশ্যাল নেটওয়ার্কে গালিবাজদের সঙ্গে প্রকাশ্য বন্ধুত্বের অর্থ কী? বর্জিত-গালিবাজ বন্ধুদের মারফতে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির তরে গালি সম্প্রচার করতে পারে। তাতে আপনি যত খুশি গালিবাজকে ব্লক করেন না কেন লাভ নাই। আপনার নিরপেক্ষ বন্ধুরা আপনাকে দেওয়া গালির তহবিল সংগ্রহ ও বিপণনে আপনাবদান রাইখা যাইতেছেন।
গালাগালির নেটওয়ার্কে সক্রিয় ও অক্রিয় দুই রকম গালিবাজ আছেন। অক্রিয় গালিবাজ (যিনি নিজে গালি দেন না কিন্তু গালাগালির ব্যাপারে নিরব অবস্থান রক্ষা করেন) নিজেকে গালাগালির পোষক হিসাবে ব্যবহার করতে দেন। ফলে যে কারণে গালিবাজ বর্জিতব্য সেই একই কারণে গালিবাজদের বন্ধুরাও বর্জ্য।
সামাজিক নেটওয়ার্কের মধ্যে গালাগালির নেটওয়ার্কের জায়গা নাই। ব্যক্তির জীবনে তা নিশ্চয়ই আছে।
২.
আমি কোনোদিনই গালিগালাজের বিরোধী না। গালি দরকারি ভাষ্য। যেইখান দরকার গালি তো দিতেই হবে। ফলে কবিতার বইয়ে গালি, স্ল্যাং অতীব প্রয়োজনীয় জিনিস। কিন্তু ভদ্র সামাজিক নেটওয়ার্কে গালি চলে না। তাই এইখানে গালি চর্চার নিবারণ করতে আছি। যেইখানে দরকার গালি তো দিমুই। আমি স্থান কাল পাত্র বিবেচনা করি।
বই হচ্ছে তেমন জিনিস যেখানে লেখকের নিতান্ত আপনকার অনুভূতি, গোপনতা, নিষ্ঠুরতা, অশ্লীলতা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবং কোনো কোনো বইয়ে তা নিয়া আপত্তিও কেউ কেউ প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু অন্যের বইয়ের প্রদত্ত গালি নিয়া বা অশ্লীলতা নিয়া আপত্তির কোনো আইনী বা নৈতিক ভিত্তি নাই। এক সময় লোকেরা তেমন করতো।

