১.
উদ্যোক্তা নারীদের ঘর এবং ব্যবসা সামলানোর যৌথ গুণ না থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ব্যবসাটি ডাব্বা মারে। নয়ত বিবাহ ভাইঙ্গা যায়।
কেমনে ভাঙে তা বলি।
নারীদের ঘর সামলানো বলতে অ্যাকটিভিস্ট নারী সমাজ যেই জিনিসটা বোঝায়, তা ছোটলোক মেয়েদের বাদ দিয়াই বোঝায়।
তারা দেখায়, উদ্যোক্তা নারীটি নিজেই ঘর মুছতেছে, কাপড় ধুইতেছে, বাসন মাজতেছে, বাচ্চা পিটাইতেছে ও স্বামীর পা ধোওয়াইয়া দিতেছে!
নহে। এইরূপ নহে।
এগুলি উদ্যোক্তা নারীরা ছোটলোক নারীদের দিয়া করায়। যে ছোটলোক নারীদের অদৃশ্য কইরা রাখে মিডল ক্লাস নারীবাদীরা।
তারা আহাজারি করে যে উদ্যোক্তা নারীটি কীভাবে ঘর আর ব্যবসা সামলাবে, আহা!
এত কাজ কী কইরা করবে!
পুরুষরা কেন ঘর সামলায় না!
হাঃ হাঃ 😁
তারা আড়াল করে ডেলিগেশনের কথা। উদ্যোক্তা নারীরা ডেলিগেট করতে জানে। প্রফেশন তাদের এইসবের জন্যে প্রস্তুত করে। সে কারে দিয়া কী কাজ করাইতে হবে তা জানে।
এবং এইভাবে ঘর ও ব্যবসা সামলায়।
সামলাইতে গিয়া সব জায়গায়, ঘরে ও ব্যবসায়, তারা ছোটলোক মেয়েদের নিয়োগ দেয়। দিতে পারে, দিয়া থাকে।
এবং এইভাবে যুগপৎ ঘর ও ব্যবসা সামলানো গৌরবেরই ব্যাপার।
২.
এইখানকার পারিবারিক সিস্টেম পুরুষদেরকে, তাদের নফসের কারণে, ঘরের কাজে নিয়োগ করতে ভয় পায় বা রাজি থাকে না।
ভয়ের কারণে ছোটলোক কাজের মেয়ের সঙ্গে মিডল ক্লাস পুরুষ স্বামীর নৈকট্য তৈরি হইতে পারে এমন সব ইভেন্ট বা পয়েন্ট নাই কইরা দেয় ফ্যামিলিগুলি।
স্বামীরা এইসব ঘর সামলানো মূলক নৈকট্য খানিক পছন্দ করলেও স্ত্রীরা এই ধরনের সম্ভাবনাময় নৈকট্য অপছন্দ করে।
কাজেই পুরুষদের আর ঘর সামলানো ঘইটা ওঠে না।
৩.
ধরেন কোনো নারী ব্যবসা করায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়া ঘর সামলানোর কাজে নিয়োজিত রাখল তার স্বামীকে ও কাজের মেয়েটিকে।
ধরা যাউক তারা দুইজন ঘরুয়া একসঙ্গে বাচ্চা সামলাইতেছে, ভাত রানতেছে, বাচ্চারে খাওয়াইতেছে, বাসন মাজতেছে, কাপড় ধুইতেছে, কাপড় খুলতেছে। হাঃ হাঃ। হাসতেছে। কী ভয়ানক!
তো এই রকম সামলানির চোটে যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে তাতে উদ্যোক্তা নারীর ব্যবসার বারোটা বাজতে পারে। বারোটা বাজতে পারে ঘরেরও।
৪.
অতএব ঘর সামলানোর দায়িত্ব থিকা পুরুষরে সরাইয়া ভাবেন। নাইলে স্বামীটির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সম্ভাবনা ও উদ্বেগের কারণে বিয়া ভাঙতে পারে।
আমরা সিনেমা নাটকে এমনটা দেখতে পাই। মনে হয়, উদ্যোক্তা নারীরাও তা দেখতে পায়।
তাই ঘর সামলানোর কাজ তারা পুরুষদের দেয় না। বরং যখন উদ্যোক্তা নারীরা নিজেরা বাসায় থাকে না, তখন যেন স্বামীটি বাসায় না থাকে, বরং চাকরি বা ব্যবসার কাজে বাইরে থাকে, তা নিশ্চিত করে তারা।
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটারেই বলে ঘর সামলানো।
৫.
উদ্যোক্তা নারীকে তার নিজের ঘর ও নিজের ব্যবসা ও নিজের বিবাহ সামলানোর জন্যে প্রশংসা করতে শিখেন।
৬/৩/২০২৩
এইটা অত্যন্ত স্পষ্ট সত্য কথা। ধন্যবাদ প্রিয় রাইসু :)