ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারে দেখতে হবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আলোকে
কবি, লেখক ও শিক্ষাবিদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররে আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠা লইয়া টানাটানি করতে রাজি না।
অনেকেই করেন সেইটা, কী কারণে করেন বুঝি না!
ওনারে এইটাতে জড়িত করা ঠিক না। রবীন্দ্রনাথ মহোদয়রে নিষ্কৃতি দিয়া বরং আমার কথা বলি।
ধরেন আমি কলকাতায় থাকি, অথচ পূর্ববঙ্গে আমাদের জমিদারি আছে।
আমি কি চাইব সেইখানকার প্রজারা আমাদের সমান হইয়া উঠুক?
না, চাইব না। রবীন্দ্রনাথ চাইলেও আমি চাইব না।
কাজেই আমি না-ই চাইতে পারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হউক। এতে দোষ নাই।
যতক্ষণ না মুখ ফুইটা এর বিরোধিতা করতেছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধী আপনারা বলতে পারবেন না!
তবে আমি যে এর পক্ষে আছিলাম, সেইটাও আপনি কইতে পারবেন না। এত আগের কথা যে আপনি কিছুই কইতে পারবেন না!
২.
আবার দেখেন, যদি ঢাকার নবাবের গুষ্টি এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে আছিল তাইলে তো তারা পক্ষেই আছিল। জমি দিছিল কি দেয় নাই এই আলাপ মূলত এর পক্ষে যারা আছিল না, তাদেরকে রক্ষার কাউয়া ক্যাচাল।
মূল ফোকাস দিতে হবে হইল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে কারা ছিল। তাদের জয় হউক।
৩.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লগে মিলাইয়া দেখলেই এই লইয়া ঠাকুর টানাটানির আর দরকার হয় না।
দুইটারই শুরু ১৯২১ সালে। আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কয়েক মাস পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
এই যে একই সালে শুরু হইল এর মইধ্যে বুদ্ধিমানদের জন্যে ইশারাই কাফি রাখা আছে।
কাফি আপনারা খাইবেন না?
৪.
১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ।
১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
১৯২১ সালের ১ জুলাই শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
৫.
কেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ঢাকার নবাবেরা কিছু বলেন নাই আমার সেই লইয়া অনেক আক্ষেপ।
নাকি বলছিলেন? বিরোধিতা করেন নাই তো?
২/৪/২০২৪