ক্ষমতা, রাজনীতি ও অধিকার—দুনিয়া বদল করে না
দুনিয়ার অধিকাংশ পরিবর্তন ঘটে আবিষ্কারক, দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার কারণে।
দুনিয়ার পরিবর্তন রাজনীতির লোকদের মাধমে ঘটলেও তাদের কারণে ঘটে না। রাজনীতিবিদদের কাজও না দুনিয়ার পরিবর্তন ঘটানো।
রাজনীতির লক্ষ্য হইল ক্ষমতা, অর্থাৎ বর্তমানতা।
তাই রাজনীতি মাত্রই ভবিষ্যৎরে ঠেকায়। যদিও ভবিষ্যতের আশা দিয়াই রাজনীতি তার দোকান সাজায়!
রাজনীতিবিদরা দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবীদের উদ্ভাবিত মতাদর্শ বা সূত্রগুলি নাগরিকদের মধ্য গ্রহণ করাইতে পারলে দুনিয়া পরিবর্তনের পথে আগায়। সেই পরিবর্তনের গতি-প্রকৃতি যখন আর রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তখন অনেক সময় বিপ্লব সাধিত হয়। ও দুনিয়ার পরিবর্তন ঘটে।
দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবীদের উচ্চ এবং নতুন চিন্তার ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ দেখাইয়া দেওয়াটা জনতার প্রতি রাজনীতিবিদদের পেশাগত দায়িত্ব বা শ্রমিকতা।
এর বাইরে সমাজ বদলে রাজনীতির অবদান নাই, বরং বিরোধিতাই দেখা যায়।
ক্ষমতার বদলে ক্ষমতাই সব সময় ক্ষমতায়িত হয়। তখন তার নতুন ক্ষমতার রাজনীতি সমাজ বদলের এজেন্ডা বা ভবিষ্যৎরেই সবার আগে বাক্সবন্দি করে।
অনেকের ধারণা ক্ষমতারে উচ্ছেদ করার জন্যে ক্ষমতারে প্রশ্ন করাটা বুদ্ধিজীবীদের কাজ। কিন্তু না, প্রশ্নের মাধ্যমে ক্ষমতার উচ্ছেদ ঘটে না বরং আরো সংহত হয় এবং সেকারণেই এইটা রাজনীতিবিদদের কাজ।
প্রশ্নের মাধ্যমে ক্ষমতারে বদলানো হইল ক্ষমতার সংশোধন বা প্রুফ রিডিং। এইটা পৌর নাগরিকদের ক্ষমতার চৌহদ্দির মধ্যে থাইকা তাদের সুযোগ ও অধিকার ঠিক রাখার আদান-প্রদান মূলক কাজ।
ক্ষমতারে প্রশ্ন করার মাধ্যমে সমাজে স্থিতাবস্থা আরো অবিচল বা ভ্রমশূন্য হয়।
এক অর্থে অধিকার মাত্রই এইভাবে ক্ষমতারে দীর্ঘায়িত করে। তাই অধিকার এর গল্প আপনি করতেছেন মানে ক্ষমতারেই ক্ষমতায় রাখতে চাইতেছেন।
২৮/২/২০২৪