সেলিব্রিটি সালমান মুক্তাদিরের বক্তব্যে যারা বিস্মিত হইলেন তাদের জন্যে দুই কথা
'কুরুচি', 'হিরো আলম' ও 'প্রথম আলো' প্রশ্নে সালমান মুক্তাদির ইত্তেফাক ইন্টারভিউতে ("হাতি গর্তে পড়ছে বলে আপনি লাথি মারছেন: প্রথম আলো ইস্যুতে সালমান মুক্তাদির") সে কথাগুলিই বললেন, যে সম্পর্কে ইন্টারভিউর অপেক্ষা করা ছাড়াই বহু বুদ্ধিজীবী এতদিন ধইরা কথা বইলা আসতেছিলেন।
অর্থাৎ একটা ধারাবাহিকতার বাইরে তার বক্তব্য বিচারের সুযোগ নাই।
২.
মুক্তাদির তার এই ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে ফেসবুক পোস্টে এ সংক্রান্ত কিছু বলছিলেন কিনা আমি জানি না। না বইলা থাকলে সেইটা তার একটা গলতির জায়গা। বইলা থাকলে আর দশজন বুদ্ধিজীবীর কর্তব্য তিনিও সম্পাদন করছেন। গুড।
৩.
ইত্তেফাকের এই ইন্টারভিউরে আমি মূলত বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্যগুলিরে ম্লান কইরা দেওয়ার মিডিয়া মাতব্বরির বাইরে দেখতে পাই না।
চিরকালীন মিডিয়াবাজি এগুলি।
তারা সালমানের ইন্টারভিউর মধ্যে বুদ্ধিজীবীরা যা বলছিলেন তার রেফারেন্স দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছেন কি? না তা করেন নাই। সালমানও বুদ্ধিজীবীরা যে তার আগেই এই বিষয়ে যথেষ্ট বলাবলি করছেন তা বলার প্রয়োজন বোধ করেন নাই।
যাই হউক, এই কথাগুলি তো এতদিনে সাধারণ পাঠকদের কাছে অবস্থান অনুসারে হয় হয় গৃহীত নয় বর্জিত হইয়া যাওয়ার মত কথা।
অর্থাৎ কথাগুলি নতুন কিছু না।
কথাগুলিতে বিস্মিত হওয়ার বা বাহবা দেওয়ার মত কিছু অবশিষ্ট নাই।
কথাগুলি যে ভাল, সে কথা স্বীকার করতেছি অবশ্যই।
৪.
তাইলে কেন সালমান মুক্তাদিরকে এই কথাগুলির কারণে বাহবা দিতে হইল?
ছোট কাজে কেন বড় বাহবা?
কেন আপনারা তার কণ্ঠে এই কথা শুইনা বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া গেলেন? এমনকি দুয়েকজন বুদ্ধিজীবী পর্যন্ত!
একটা কারণ, সালমান মুক্তাদিরসহ কোনো সেলিব্রিটিকেই সাধারণ মানুষ বা নন সেলিব্রিটিদের যে মর্যাদা আছে তা দেওয়া হয় না।
ধইরা নেওয়া হয় তারা মূর্খ, সুন্দর ও মুখস্থ বিদ্যার প্রাণী।
এইখানেই আমরা এমনকি বুদ্ধিজীবীরা পর্যন্ত বিশিষ্টজন বা সেলিব্রিটি পূজায় বা ঘৃণায় মগ্ন হইয়া আছি।
তা থিকা বাইর হওয়া দরকার।
৫.
সালমানও ভাল বলছেন, আমার দিক থিকা এই পর্যন্তই বলতে পারি।
সেলিব্রিটিদের নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব-কর্তব্যের জায়গায় তারা আর দশজন অ-বিশিষ্টদের মতই বিবেচিত হবেন।
বেশি বা কম নয়।
অবিশিষ্ট ভাই ও বোনেরা, আমরা যাতে তাদের উপরে বেশি ভার না চাপাই।
১১/৪/২০২৩