কলকাতার বইমেলায় বাংলাদেশকে নিমন্ত্রণ, অত সরল ব্যাপার নয়
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থাগুলিরে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিয়া মোটামুটি গরিবেরে বিরিয়ানি খাওয়ানোর মত উচ্ছ্বাস প্রদর্শন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তাদের পত্রপত্রিকা ও বাংলাদেশের মিডিয়া।
যে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশরে পানি দিতে নারাজ তারা কেন বাংলাদেশরে বই বেচতে দিয়া এই মহানুভবতার আদিখ্যেতা দেখায়?
যেখানে বাংলাদেশের বই আবার সেই রকম কিনেও না কলকাতা নিবাসীরা, যতটা এখানে বইয়ের দোকানগুলিতে, সারা বছর ধইরাই, বিক্রি হয় তাদের বই!
এই কৃত্রিম উচ্ছ্বাস প্রচারের গোপন কারণ বাংলাদেশের একুশে বইমেলায় কলকাতার বই ব্যবসায়ীদের দাওয়াত দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করা। যে, আমরা নিমন্ত্রণ করছি, এইবার তোমরা দাওয়াত দেও!
গরিব প্রতিবেশীরে সমতার চ্যালেঞ্জ দেখাইয়া অসম ব্যবসায় নামাইয়া দেওয়ার বদ রাজনীতি এইটা।
যাতে চক্ষুলজ্জার নামে বাংলাদেশ সরকার একুশে বইমেলায় ইন্ডিয়ার প্যাভিলিয়ন খুইলা দিতে পারে, তারই প্রাথমিক তৎপরতা এইসব।
আমাদের যথকিঞ্চিৎ বই ব্যবসার বারোটা বাজানোর ব্যাপারে প্রকাশকদের সাবধান হওয়ার দরকার আছে। তার চাইতে বেশি সাবধান হওয়ার দরকার লেখকদের।
পাঠকেরা অবিশ্বস্ত। তাদের কারণেই এইসব সাবধানতা লইতে হয়।
১/২/২০২৩