সেলিব্রিটিদের জনপ্রিয়তা তৈরি হয় নানা কারণে। তা কমেও নানা কারণে।
সালমান মুক্তাদির যদি দুই সন্তানসহ কোনো নারীকে বিয়া করে তা তার প্রতি ভক্তদের আগ্রহ কমাইতে পারে।
আগে বিয়া হইছিল এমন সন্তানসহ নারী বিয়া করা কোনো পাপ না তা কি ওনারা, ওনার ভক্তরা, বোঝেন না?
বোঝেন। কিন্তু এই বোঝার পরেও সালমান মুক্তাদিরকে তারা সমালোচনা করতে পারেন, এই ডিসিশন নেওয়ার কারণে।
সেলিব্রিটি হওয়াটা কেবল যিনি হন তার ব্যাপার না, যারা তারে বানায় তাদেরও।
কাজেই তারা এই বিষয়ে সালমানকে সমালোচনা করতে পারে। যে, তুমি আমাদের সালমান মুক্তাদির, তুমি এইটা কী কাম করলা!
যেমন সালমান মুক্তাদির সোশ্যাল মিডিয়ায় আইসা প্রকাশ্যে কাঁঠাল খাইলেও ভক্তেরা তার সমালোচনা করতে পারে।
কিন্তু কাঁঠাল খাওয়া কি খারাপ?
না। যেমন সন্তানসহ নারী বিয়া করাও খারাপ না।
সেলিব্রিটিদেরকে ভাল লাগাটা যেমন লজিক বা নিয়ম মাইনা হয় না, খারাপ লাগাটাও হয় না।
দুই বাচ্চার মাকে বিয়ে করায় আপনার যদি সালমান মুক্তাদিরকে ভাল লাগে তার এই সাহসী এবং সুন্দর পদক্ষেপের জন্যে, তবে কেউ কেউ যদি এই কাজরে অসুন্দর ধইরা নেয়, তাদের যদি তা ভাল না লাগে, তা প্রকাশ করতে দিতে আপনার এত আপত্তি কেন!
আবার ওই নারীও, দিশা ইসলাম, যে সালমান মুক্তাদিরকে বিয়া করছেন, তা নিয়াও কিন্তু সমালোচনা চলতে পারে।
যে, আর ভাল কাউরে উনি পাইলেন না?
এইসব সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায় করা যাইতেই পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া আপনার পলিটিক্যাল কারেক্টনেস শিখানির শ্রেণীকক্ষ নহে।
৩/৫/২০২৩
সুন্দর বক্তব্য